ভাষানটেকে বিআরপি বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
Published: 6th, March 2025 GMT
রাজধানীর ভাষানটেকে বিআরপি বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যয়নি। আজ বৃহস্পতিবার ১১টা ১৩ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম। তিনি বলেন, ভাষানটেকের বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর গাবতলীতে শাহী মসজিদের পাশের বস্তির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বুধবার দিনগত রাত ৪টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, বুধবার দিনগত রাত ৪টা ৩৬ মিনিটে গাবতলীতে শাহী মসজিদের পাশের বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, রাত ৩টা ৮ মিনিটে গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ৩টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানো শুরু করে। পরে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তবে আগুনের সূত্রপাত, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।