কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৫ ও বিএনপি ৯ পদে জয়ী
Published: 6th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সহিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থী প্রার্থীরা ৫টিতে এবং বিএনপিপন্থী প্রার্থীরা ৯টি পদে জয় পেয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে আইনজীবী সমিতির ভবনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ৬০৬ জন ভোটারের মধ্যে ৫৩৭ জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান।
ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী সহিদুল আলম ৪৪১ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ ৮০ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপিপন্থী আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ২৯১ ভোট পেয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শেখ শহিদুল ইসলাম ১৩৪ ভোট পেয়েছেন।
সভাপতি সহিদুল আলম ছাড়া আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের জয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে আবদুর রাশিদ ভূঞা, সদস্য পদে কফিল উদ্দিন, মো.                
      
				
সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছাড়া বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল থেকে জয়ী প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে মো. মানিক, সহসাধারণ সম্পাদক পদে নাদিরা সুলতানা ও শাহিনূর কলি, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল বোখারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এ এম সাজ্জাদুল হক, অডিটর পদে আবু বাক্কার সিদ্দিক, সদস্যপদে মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান ও আবু তাহের। এর মধ্যে সদস্য পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম আইনজ ব আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো–কাণ্ডের সেলিম প্রধান রিমান্ডে
রাজধানীর গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মিছিলে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ জানান, গত ২৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ওই দিন আদালত তাঁর উপস্থিতিতে শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন। শুনানির জন্য আজ সেলিম প্রধানকে আদালতে আনা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাওহিদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আগের সরকারের সময় সেলিম প্রধানকে নিয়ে অভিযোগ ছিল তিনি তারেক রহমানের কাছে টাকা পাঠাতেন এবং বর্তমান মামলাতেও একই রকম অভিযোগ আনা হচ্ছে, যা যৌক্তিক নয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জিজ্ঞেস করেন, ‘তারেক রহমানকে কে টাকা দিয়েছেন?’ উত্তরে আসামিপক্ষের আইনজীবী একটি সংবাদ প্রতিবেদনের কপি আদালতে দেখান। এ সময় আদালতের ভেতর হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে সেলিম প্রধান বলেন, ২০১৯ সালের একটি মামলায় তিনি জামিন না পেয়ে কারাভোগ করেছেন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি গাজী গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেন এবং আওয়ামী লীগের আমলে তাঁর ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলা হয়েছে। তিনি জোসেফ হারিছের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন।
শুনানি শেষে আদালত সেলিম প্রধানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্লেস নামক একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।
এর গত ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের মিছিলে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টায় গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারের পাশের রাস্তায় আসামিসহ ৩০ থেকে ৩৫ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সমবেত হন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংগঠনের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতাদের নিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা। সেখানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে।