চারদিন হাসপাতালে থেকে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
Published: 6th, March 2025 GMT
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব এখন সুস্থ রয়েছেন। রোববার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি পাঁচতারা হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
শায়রুল কবির জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অংশ নিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ধুলাবালির কারণে অসুস্থ অনুভব করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজি কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এন এ এম মোমেনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন মির্জা ফখরুল। তার রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছিল। আর বুকে কাশি জমাট বাঁধায় শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। প্রচণ্ড দুর্বল বোধ করছিলেন তিনি। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ফখর ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই