অবশেষে ৮৬ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহকে তুলে নিলেন আর্নে স্লট। সম্ভবত সালাহর মাঠ ছেড়ে যাওয়ায় এত স্বস্তি লিভারপুল সমর্থকেরা আর কখনোই অনুভব করেনি। এমনকি মাঠ ছাড়তে পেরে সালাহ নিজেও যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন।

পিএসজির বিপক্ষে গতকাল রাতে ৮৬ মিনিট ধরে যেভাবে খেলেছেন, সালাহ হয়তো তা দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন। চলতি মৌসুমে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সালাহ। কিন্তু সেই সালাহকে প্যারিসে সেরার আশপাশেও দেখা যায়নি। মাঠজুড়ে সালাহর ১১ নম্বর জার্সি পরে যেন দৌড়ে বেড়িয়েছে তাঁর অপরিচিত কোনো ছায়া।

গতকাল রাতটি শুধু সালাহর জন্যই নয়, পুরো লিভারপুল দলের জন্য ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। পিএসজির আক্রমণের চাপে পিষ্ট হতে থাকা ‘অল রেড’রা যেন অপেক্ষায় ছিল শেষ বাঁশি বাজার।

আরও পড়ুনঅবিশ্বাস্য আলিসন, নেমেই গোল এলিয়টের, লিভারপুলের পিএসজি জয়১৬ ঘণ্টা আগে

পরিস্থিতি এমন যে ড্রও মনে হচ্ছিল জয়ের চেয়ে বড় কিছু। কিন্তু পাশার দান বদলে দেন হার্ভে এলিয়ট। সালাহর বদলি হিসেবে মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যে গোল করে পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচে। অপ্রত্যাশিত ও স্রোতের বিপরীতে পাওয়া এক গোল। যে গোলে লিভারপুলও পেয়ে যায় ১–০ ব্যবধানের জয়।

হতাশা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন সালাহ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।

মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’

বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।

উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ