শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে কেন
Published: 6th, March 2025 GMT
‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ আর ‘ডানকি’ দিয়ে ২০২৩ সালটা নিজের করে নিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এরপর এক বছরের বিরতি যেন তাঁর পাওনাই ছিল। ভক্ত-অনুসারীদের আশা ছিল, ২০২৫-এর শুরুতেই বড় পর্দায় হাজির হবেন তিনি। ‘দ্য কিং’ নামে সিনেমা দিয়ে তাঁর ফেরা নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে সিনেমার শুটিং। সবশেষ খবর, ‘দ্য কিং’ সিনেমার শুটিং আবার পিছিয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
‘দ্য কিং’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খানের। শুরুতে সিনেমায় শাহরুখের করার কথা ছিল অতিথি চরিত্র। কিন্তু পরে চিত্রনাট্য আবার ঘষামাজা করা হয়। শাহরুখের চরিত্রটির গুরুত্ব বাড়ানো হয়। এসব করতে গিয়ে সিনেমাটি অবধারিতভাবে পিছিয়ে যায়।
চলতি বছরের শুরুতেই ‘দ্য কিং’ সিনেমার শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন হয় আরেক ঝামেলা। শুরুতে সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা ছিল সুজয় ঘোষের। কিন্তু শাহরুখ খান ঠিক করেন, ‘দ্য কিং’ সিনেমাটিকে ‘পাঠান’ বা ‘জওয়ান’-এর মতো পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক সিনেমার মতো করে বানাবেন। সিনেমায় ভরপুর অ্যাকশন থাকবে।
শাহরুখ খান। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ
বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।
মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে।