সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ডোবার পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা মামাতো ও ফুপাতো বোন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের বিলচতল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- বিলচতল গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে তন্নী (৮) হাফিজার রহমানের বোনের মেয়ে আনিকা (৮)।
নিহত তন্নীর চাচা আব্দুল বারিক বলেন, “দুপুরে তন্নী ও আনিকা বাড়ি পাশে স্তুপ করে রাখা বালির উপর খেলা করছিল। এরপর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে বালির পাশে ডোবায় তাদের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে পরিবারকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, “যমুনা নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালি বিলচতল গ্রামের হাফিজার রহমানের বাড়ির পাশে স্তুপ করে রাখা ছিল। ওই বালির উপর খেলতে যায় তন্নী ও আনিকা। খেলার এক পর্যায়ে তারা ডোবার পানিতে নেমে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।”
ঢাকা/অদিত্য/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ