মাদারীপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক পিপি গ্রেপ্তার
Published: 11th, March 2025 GMT
মাদারীপুর কোটা সংস্কার আন্দোলনে রোমান ব্যাপারী (৩২) নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের হরিকুমারিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ১১ জুলাই তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি হিসেবে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আবদুল্লাহ আল মামুন একটি শটগান হাতে নিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেছেন। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ তাঁকে শনাক্ত করেন। মঙ্গলবার বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে রিকশার গতিরোধ করে পুলিশ আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে রোমান ব্যাপারী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রোমান ব্যাপারীকে (৩২) হত্যার ঘটনায় গত ২৪ আগস্ট নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কাজল আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত রোমান ব্যাপারী সদর উপজেলার ভদ্রখোলা এলাকার আমর ব্যাপারীর ছেলে ও পেশায় পিকআপের চালক ছিলেন। মামলায় মাদারীপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল ব্যাপারীকে প্রধান করে ১৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তিনজনের মধ্যে এটিই প্রথম মামলা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ আল ম ম ন গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’