Risingbd:
2025-05-01@04:51:05 GMT

রাবিতে শিবির-ছাত্রদল এক মঞ্চে

Published: 11th, March 2025 GMT

রাবিতে শিবির-ছাত্রদল এক মঞ্চে

ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটেছে।

একই দিনে এবং একই সময়ে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের কুরআন বিতরণ এবং শাখা ছাত্রদলের কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা ছিল। ছাত্রশিবিরের অনুষ্ঠানের কারণে ছাত্রদলের অনুষ্ঠান পিছিয়ে যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা।

আরো পড়ুন:

রাবিতে ছাত্রশিবিরের কোরআন বিতরণ কর্মসূচি

ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

শিবিরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এসময় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তাকে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এ সময় শিবির সভাপতি বলেন, “আল্লাহ তায়ালা ৫ আগস্টের পরে আমাদের অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার। এ সুযোগ আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে পারি তা নির্ভর করবে আমাদের উপর। আমরা কিভাবে গড়তে চাই বাংলাদেশকে, সেটার উপর নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের ছোট্ট একটি দেশ, কিন্তু অপার সম্ভাবনাময়।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের শাসকদের মধ্যে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের দিক থেকে এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনে জিয়াউর রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি। এছাড়া তার দূরদর্শীতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “পাশাপাশি স্বাধীনতার পরে এ দেশে ইসলামকে মুছে দেওয়ার পার্শ্ববর্তী দেশের নীলনকশা মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন কথাবার্তা ও বডিল্যাংগুয়েজ নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র অন ষ ঠ ন ছ ত রদল র ইসল ম ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ