চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ ফেরত
Published: 14th, March 2025 GMT
অসুস্থতাজনিত কারণে বাংলাদেশের কারাগারে মৃত এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া।
আরো পড়ুন:
আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম বিজলি কুমার রায়। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা। গত ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা.
ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিজলির ছোট ভাই শ্রী বদ্রী রায় মরদেহ গ্রহণ করেন।”
মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সোনামসজিদ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু সাইদ, ১১৯-বিএসএফ কোম্পানির পরিদর্শক সন্তোষ কুমার, রাজশাহী পুলিশ লাইনের পরিদর্শক মোফিজুল ইসলাম, ভারতের মালদা জেলার মাহাদিপুর থানার এসআই অলক ভৌমিক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ/শিয়াম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র মরদ হ মরদ হ হ বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।