অসুস্থতাজনিত কারণে বাংলাদেশের কারাগারে মৃত এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া।

আরো পড়ুন:

আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম বিজলি কুমার রায়। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা। গত ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা.

শংকর কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, “১৩ জানুয়ারি রাজশাহী কারাগারের মাধ্যমে হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি হয়েছিলেন বিজলি কুমার রায়। ১৫ জানুয়ারি দুপুরে তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। শুক্রবার (১৪ মার্চ) মরদেহ ভারতে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”

ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিজলির ছোট ভাই শ্রী বদ্রী রায় মরদেহ গ্রহণ করেন।”

মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সোনামসজিদ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু সাইদ, ১১৯-বিএসএফ কোম্পানির পরিদর্শক সন্তোষ কুমার, রাজশাহী পুলিশ লাইনের পরিদর্শক মোফিজুল ইসলাম, ভারতের মালদা জেলার মাহাদিপুর থানার এসআই অলক ভৌমিক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ/শিয়াম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র মরদ হ মরদ হ হ বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি