ফরিদপুরে ঋণের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা
Published: 15th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের সদরপুরে ঋণের চাপে সিদ্দিক মল্লিক (৪৫) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবি গ্রামের পরিত্যক্ত ভিটায় আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখা যায়।
নিহত সিদ্দিক ওই এলাকার মুসা মল্লিকের ছেলে। খবর পেয়ে সদরপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৪ মার্চ) ইফতারের পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিদ্দিক বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে তিনি বাড়ি আসেননি। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে মহিলারা ফসলী জমিতে কাজ করতে গেলে জমির পাশে পরিত্যক্ত ভিটার আম গাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে।
আরো পড়ুন:
কৃষকদলের কমিটিতে আ.
হাওরে কাঁচা মরিচ চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গফফার শিকদার জানান, সিদ্দিক একাধিক এনজিওর কাছে ৭-৮ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ কারণে হতাশা থেকে আত্মাহত্যা করতে পারেন।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত ছাড়া এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
ঢাকা/তামিম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ