বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজ আসাদের লাশ উদ্ধার
Published: 15th, March 2025 GMT
ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে গিয়ে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর আসাদুজ্জামান আসাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আসাদ (১৭) সিরাজগঞ্জের সলংগা গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে। সে ডাংগা ইউনিয়নের কাজীরচর প্রাণ আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতো।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কাজীরচরে প্রাণ আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে মিহাদ ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মো.
টঙ্গি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার ইদ্দিস আলী বলেন, তাদের কেউ সাঁতার জানতো না। দু’জন নদীর গভীরে চলে যাওয়ায় ডুবে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কিশোর মিহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয় আসাদের মরদেহ।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, চার বন্ধুই ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছিল। সাঁতার না জানায় এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র দ র মরদ হ শ তলক ষ য শ ক রব র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ