ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে গিয়ে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর আসাদুজ্জামান আসাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

আসাদ (১৭) সিরাজগঞ্জের সলংগা গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে। সে ডাংগা ইউনিয়নের কাজীরচর প্রাণ আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতো।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কাজীরচরে প্রাণ আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে মিহাদ ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মো.

তানভির ও সামির খান শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে। নদীতে নেমে তীব্র স্রোতের মধ্যে পড়ে তলিয়ে যায় নাহিদ ইসলাম ও আসাদুজামান আসাদ। তাদের দুই বন্ধু রেজাউল তানভীর ও সামির খান তীরে উঠতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল শুক্রবার সন্ধায় মিহাদ ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মিহাদ মিরপুর-১১ এর পলাশ নগর (পল্লবী) এলাকার শাহজাহান বেপারির ছেলে। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শনিবার সকাল থেকে পুনরায় নদীতে তল্লাশি শুরু করে একই স্থান থেকে সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ আসাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

টঙ্গি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার ইদ্দিস আলী বলেন, তাদের কেউ সাঁতার জানতো না। দু’জন নদীর গভীরে চলে যাওয়ায় ডুবে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কিশোর মিহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয় আসাদের মরদেহ।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, চার বন্ধুই ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছিল। সাঁতার না জানায় এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র দ র মরদ হ শ তলক ষ য শ ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের

দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার চাকা ঘুরতে যাচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের। এরই মধ্যে কারখানাটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। তাতে কর্মসংস্থান হয়েছে এক হাজার জনের। সরকারি মালিকানাধীন বস্ত্রকলটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে (পিপিপি) আবারও চালু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। আজ সোমবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারখানাটি পরীক্ষামূলক চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিপিপিতে নেওয়ার পর রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের নাম বদলে রাখা হয়েছে বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে শিগগিরই কারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। এটি পুরোদমে চালু হলে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আজ দুপুরে রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-আরএফএলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল, গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান, গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শরীফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, রাজশাহীতে অবস্থিত সরকারি এই টেক্সটাইল মিলটি ২২ বছর ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এটি পিপিপিতে চালুর উদ্যোগ নেয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রায় ২৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কারখানাটিতে তৈরি হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটিতে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় গ্রুপটি। এরপর তিন মাসের মাথায় কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটি পুরোদমে চালু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে তারা উত্তরবঙ্গে এই বৃহৎ শিল্প প্রকল্প শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে।

আনিসুর রহমান বলেন, কারখানায় বর্তমানে সীমিত পরিসরে জুতা ও ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে রাজশাহীর প্রায় এক হাজার লোক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে একটি ‘স্কিলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হবে।

রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসে কারখানা চালু করার প্রক্রিয়ায় কয়েক শ গাছ ও পুকুর ভরাটের বিষয়ে রাজশাহীতে সমালোচনা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধনও করেছে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গাছ কাটা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তাঁরা সঠিক উপায় অবলম্বন করেই এগুলো করেছেন। বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন। তার বিপরীতে তিন হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেবে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার, এমবিএতে আবেদন
  • ২২ বছর পর চালু হচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিল
  • ২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের