সার্বিয়ায় রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী
Published: 15th, March 2025 GMT
সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছে। শনিবার শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা দাঙ্গা পুলিশ এবং প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সমর্থকদের মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জনের মৃত্যুর পর সার্বিয়ায় কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এ ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ১২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকা জনপ্রিয় ভুসিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিসেম্বর থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৩ বছর বয়সী ছাত্রী আলেক্সা সিভেটানোভিচ বলেন, “আজ আমরা আমাদের ভিন্নমত প্রকাশ করব.
সরকার অবশ্য দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বিয়াকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেলগ্রেডের একটি শহরতলিতে একটি গাড়ি বিক্ষোভকারীদের দলকে ধাক্কা দেয়, এতে তিনজন আহত হয়। অন্যদিকে একদল লোক একজন ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, তারা রাতভর এবং শনিবার ভোরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা পিওনিরস্কি পার্কের আশেপাশে পার্ক করা ভুসিকপন্থী কৃষকদের ট্রাক্টরের উপর হামলা চালিয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ