নির্ধারিত সময়ে পোশাকশ্রমিকদের বেতন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা–সংক্রান্ত এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রসচিব এ কথা জানান।

বৈঠকে নির্ধারিত সময়ে পোশাকশ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ কমাতে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন নির্ধারিত সময়ে যাতে দেওয়া হয়, সেটি নিশ্চিত করতে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাইকে বলা হয়েছে শ্রমিকেরা যেন নির্ধারিত সময়ে বেতন পায়। কোনো সম্পদ যাতে নষ্ট না হয়।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, যাত্রীরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে, কোথাও চাঁদাবাজি না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শপিং মলে যাতে চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।

কুচকাওয়াজ কেন হবে না—এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘নরমালি, গতবারও যেমন হয়নি, এবারও হচ্ছে না। আমরা এখন আছি.

..প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, একটা ওয়ার ফুটিংয়ে আছি, আমরা এখন আনন্দ করার মেজাজে নেই।’

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেও কুচকাওয়াজ হয়নি। তখন কুচকাওয়াজের পরিবর্তে সারা দেশে বিজয় মেলা হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘রমজান চলছে, ঈদের ছুটি পড়ছে এবং ২৬ মার্চ—এই তিনটা একসঙ্গে পড়েছে। সভায় আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’

২৬ মার্চ কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি দেখছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘কোথাও নিরাপত্তাঝুঁকি দেখছি না।’ তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন পুলিশ শক্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুনস্বাধীনতা দিবসে ৬৩ জেলায় কুচকাওয়াজ, স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ঢাকায় নয়৪৮ মিনিট আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ধ র ত সময় স বর ষ ট র ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ