কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আমলা-সদরপুর স্কলারশিপ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার উপজেলার তরী ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আমলা-সদরপুর স্কলারশিপ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক। 

ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আমিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আজম, খলিসাকুন্ডি ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তুষার ইমরান, জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, নওদা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আমলাসদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান, জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা মায়া, সাগরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সালিম খান, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হাবিবুর রহমান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পুরাতন আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, আমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছানাউল্লাহ প্রমুখ। 

ইফতারের আগে দেশের কল্যাণে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন গোয়াবাড়ীয়া বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মারুফ হোসেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র সহক র সদরপ র সরক র ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ