আমলা-সদরপুর স্কলারশিপ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
Published: 16th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আমলা-সদরপুর স্কলারশিপ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার উপজেলার তরী ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আমলা-সদরপুর স্কলারশিপ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক।
ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আমিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আজম, খলিসাকুন্ডি ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তুষার ইমরান, জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, নওদা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আমলাসদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান, জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা মায়া, সাগরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সালিম খান, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হাবিবুর রহমান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পুরাতন আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, আমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছানাউল্লাহ প্রমুখ।
ইফতারের আগে দেশের কল্যাণে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন গোয়াবাড়ীয়া বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মারুফ হোসেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র সহক র সদরপ র সরক র ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।