এসবিএসি ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ
Published: 17th, March 2025 GMT
বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চাপে থাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীমেরর বন্ধু। এমডি হিসেবে হাবিবুর রহমানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো আগামী ডিসেম্বরে। রোববারের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদত্যাগপত্র দিলে তা গ্রহণ হয়। অবশ্য আগামী এক মাস পরে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকের একজন পরিচালক হাবিবুর রহমানের পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, বিগত সময়ে ব্যাংকটিতে নানা অনিয়ম হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে রোববারের পর্ষদ সভার শেষ দিকে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একবার হাবিবুর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে পরে আবার প্রত্যাহার করেন।
২০১৩ সালে সাউথ বাংলা ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ এমডি মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করেছেন। যাত্রা শুরুর সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এসএম আমজাদ হোসেন। বিভিন্ন পক্ষের দ্বন্দে তিনি পদত্যাগ করার পর চেয়ারম্যান হন অবিতর্কিত ব্যবসায়ী থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লা। তারপর ২০২৩ সালের আগস্টে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে এমপি হন। শামীম পলাতক থাকায় গত সেপ্টেম্বরের পর্ষদ সভায় নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় ইঞ্জিনিয়ার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ হ ব ব র রহম ন পদত য গ ক র র পর
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।