সৌদি আরবে প্রায় দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে আজ সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু সৌদি আরব থেকে দলের সঙ্গে ঢাকায় না এসে ইতালির বিমান ধরেছেন ফাহামিদুল ইসলাম। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ পড়াতেই ইতালি ফিরে গেছেন ফাহামিদুল। ফাহামিদুলের বাদ পড়ার খবর আজ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান।

কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পছন্দের প্রাথমিক তালিকায় ছিলেন ফাহামিদুল। দল ঘোষণার দিন তাঁকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। শেষ পর্যন্ত তাঁকে রাখা হলো না। ফাহামিদুলকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে আমের বলেন, ‘সৌদি আরবে আমরা ২৮ জন নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াড হবে ২৩ জনের। যদ্দুর জানি, ভারত ম্যাচের জন্য কোচের যা পরিকল্পনা, তাতে ফাহামিদুল যায় না।’

অনুশীলন ম্যাচ তাঁকে খেলানো হয়েছে। কোচ মনে করছেন, তাঁর চেয়ে ভালো খেলোয়াড় দলে আছে। কোচ তাঁকে লেফট ব্যাকে খেলিয়েছেন, লেফট উইংয়ে খেলিয়েছেন। কোচের খেলার ধরনটা সম্ভবত সে ধরতে পারেনি।আমের খান, জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার বাংলাদেশ ফুটবল দলের সতীর্থদের সঙ্গে ফাহামিদুল (বাঁ থেকে ২য়).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল দল

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ