গাজীপুরের কালীগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হলেও যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন না করায় ফেরত যাচ্ছে ১১টি প্রকল্পের মোট ১৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। 

এরইমধ্যে সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, টিআর কর্মসূচির ১ম ও ২য় পর্যায়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা এবং নাগরী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে দুই লাখ টাকা ফেরত এসেছে। এ দুই প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।

টিআর কর্মসূচির ৩য় পর্যায়ে মোক্তারপুর ইউনিয়নের দুটি প্রকল্প থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং নাগরী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত আনা হয়েছে। যার মোট পরিমাণ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

এছাড়া, কালীগঞ্জ পৌরসভার একটি প্রকল্প থেকে টিআর ১ম ও ২য় পর্যায়ে ফেরত এসেছে ৬০ হাজার টাকা। ৩য় পর্যায়ে পৌরসভার দুটি প্রকল্প থেকে ফেরত এসেছে আরও ২ লাখ টাকা। পৌরসভার এই তিন প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

সব মিলিয়ে টিআর কর্মসূচির ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ৯টি প্রকল্প থেকে সর্বমোট ফেরত এসেছে ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।

অন্যদিকে, কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে জাংগালিয়া ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ফেরত এসেছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একই ইউনিয়নের আরেকটি প্রকল্প থেকে ৩য় পর্যায়ে ফেরত এসেছে আরও ২ লাখ টাকা। ফলে কাবিটা কর্মসূচির দুই প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.

আবুল কালাম আজাদ জানান, গত অর্থ বছরে কালীগঞ্জে টিআর কর্মসূচির আওতায় ৬০টি এবং কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ৭৭টি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে টিআর কর্মসূচির ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টির কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি এবং ৩টির কাজ একেবারেই শুরু হয়নি। একইভাবে, কাবিটা কর্মসূচির আওতায়ও দুটি প্রকল্পে কোনো কাজ শুরু করা যায়নি।

তিনি বলেন, “টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সব প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি প্রকল্পের ছয়টিতে আংশিক কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি পাঁচটিতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়নি। যারা প্রথম দফায় অগ্রিম চেক নিয়েও কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদেরকে দ্বিতীয় দফায় আর কোনো চেক দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই প্রকল্পগুলোর ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই অর্থ ফেরত পাওয়া গেলে তাও সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে।”

ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, “গত অর্থবছরে কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় নানা অনিয়ম, সময়মতো কাজ শুরু ও শেষ না করা ইত্যাদি কারণে অনেককে ২য় দফায় চেক দেওয়া হয়নি। আবার কারো কারো চেক ইস্যু হলেও পরে সেই টাকা ফেরত আনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। চেক দেওয়া অর্থ সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং চেক ইস্যু করা টাকা ফেরত এলে সেটাও পাঠানো হবে সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে।”

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র ৫০০ ট ক প রকল প থ ক প রকল প র বর দ দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ