উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট, ‘গিটারের জাদুকর’খ্যাত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর আজ ৬৪তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানের।

এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের সদস্যরা, ব্যান্ড এলআরবি’র শিল্পী এবং তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সহকর্মীরা। ‘আইয়ুব বাচ্চু: সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগেসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, সুরকার ফুয়াদ নাসের বাবু, সংগীতশিল্পী নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদারসহ আরও অনেকে।

শুধু আলোচনা নয়, নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও পরিবেশন করবেন আইয়ুব বাচ্চুর কালজয়ী গান। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে তার অপ্রকাশিত কিছু গান প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে। এখনও অমর এই শিল্পীর বেশ কিছু গান স্টুডিওতে বন্দি রয়েছে, যেগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছেন আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা ও ব্যান্ড এলআরবি।

শুধু গান নয়, সংগীতপ্রেমীদের জন্য আরও এক সুখবর— আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহার করা গিটারসহ ব্যক্তিগত সংগ্রহের জিনিসপত্র নিয়ে একটি জাদুঘর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইয় ব ব চ চ র

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ