বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “কোনো দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায় না চায়, আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে। দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে।” 

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “পিআর পদ্ধতি জামায়াতে ইসলামী নতুন করে চাচ্ছে না। আমাদের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজম নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দুটি পদ্ধতির কথা বলে গেছেন। এর মধ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যটি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। বিগত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তেমনই সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিও প্রতিষ্ঠিত হবে।” 

আরো পড়ুন:

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই: প্রেস সচিব

আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব

তিনি আরো বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পৃথিবীতে যতগুলো পদ্ধতি চালু আছে, তার মধ্যে পিআর পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে।”

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন ও মির্জা আশেক এলাহী, নড়াইল জেলার আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে: পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে ইতিবাচক বলা হলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে।

আজ বুধবার সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আরাফাত আবাসিক এলাকায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন। সমাবেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে সেই আলোকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।

জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সারা দেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ ও নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারলে জনগণ ইসলামি আদর্শের শক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট বাকশালী আওয়ামী লীগ সরকার ভিন্ন একটি দেশের প্রেসক্রিপশনে ক্ষমতায় এসে দেশের আলেম-ওলামাদের ওপর জেল-জুলুম চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের লজ্জাজনক পতন হয়েছে। তাই আগস্ট বিপ্লবকে অর্থবহ ও টেকসই করতে দলমত–নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের অতীতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদের প্রণয়নের কাজ সুসম্পন্ন করে বর্তমান সরকারকেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এই সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাষ্ট্রের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে পতিত স্বৈরাচারের অনুসারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে মন্তব্য করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে হবে। আগামী নির্বাচনে দেশে ভোট বিপ্লব ঘটানোর জন্য নেতা-কর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মানুষ এখন ইসলামী দলগুলোকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়। দেশে ইসলামের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অচিরেই জনগণের সে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে, ইনশা আল্লাহ। কোনো ষড়যন্ত্রই জনতার বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না।

সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও বা গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি প্রদান করা না হলে অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে। তাই  সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও সংস্থার কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের সব স্তরে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনতা জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল তা পূরণ না হওয়ায় জনগণের মধে৵ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারসহ জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে নতুনভাবে উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে তা জাতির কাছে অস্পষ্ট।

আরাফাত নগরের চকমথুরাবাদ ভোটকেন্দ্র কমিটির সভাপতি মো. মতিউর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও হরিণটানা থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আমির হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসেন, হরিণটানা থানার আমির আবদুল গফুর, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবক প্রসাদ, সোনাডাঙ্গা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান, খুলনা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি আল আমিন গোলদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সনাতন সম্প্রদায়ের সম্পদ রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
  • বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে: পরওয়ার