পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া পাঁচটি উদ্ভিদ ও বিলুপ্তপ্রায় পাঁচটি প্রাণী ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী জীববৈচিত্র্য দিবসের আগেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের উদ্ভিদ মিউজিয়াম ও পরে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। আইন অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য রেজিস্টার করা হবে। সংকটাপন্ন গাছ ও হারিয়ে যাওয়া উদ্ভিদের ওপর গবেষণা বাড়ানো হবে। এসব নিয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করা হবে, যাতে সংশ্লিষ্টরা সহজেই তথ্য পেতে পারেন।

ন্যাশনাল হারবেরিয়াম শুধু সংরক্ষণের জায়গা নয়, গবেষণা ও শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। গবেষণার গুণগত মান বাড়াতে বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ