কোন হিট সিনেমায় মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া?
Published: 19th, March 2025 GMT
নব্বই দশকের অন্তিমকালে বলিউডে পা রাখেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তার রূপের দ্যুতিতে মুগ্ধ ভক্তরা।
সিনেমার পাত্র-পাত্রীদের চরিত্র অনুযায়ী সাজাতে সাধারণত মেকআপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুভাষ ঘাই পরিচালিত একটি সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। টিভি রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে হাজির হয়ে এ তথ্য জানান নির্মাতা। সুভাষ ঘাইয়ের বক্তব্যের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সুভাষ ঘাই বলেন, “সীমিত মেকআপ ব্যবহারের জন্য আমি আমার নায়িকাদের সবসময়ই অনুরোধ করেছি। কারণ এতে করে সত্যিকারের আবেগ প্রকাশিত হয়। ‘তাল’ সিনেমার ‘কাহি আগ লাগে লাগ যায়ে’ গানের শুটিংয়ে প্রথমবার মেকআপ নেন ঐশ্বরিয়া রাই। চরিত্রটির জন্য ঐশ্বরিয়াকে যখন নির্বাচন করি, তখন সরল, নিষ্পাপ একটি মেয়ের জীবন চিত্রিত করতে চেয়েছিলাম, যে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর।”
‘তাল’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার মেকআপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মেকআপ আর্টিস্ট মিকি কন্ট্রাক্টরকে। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেন, “আমি তাকে (মিকি কন্ট্রাক্টর) বলেছিলাম, ‘তুমি যত টাকা চাও আমি দেব। কিন্তু আমার অনুরোধ, ঐশ্বরিয়াকে মেকআপ দেবে না।’ মিকি একজন পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে আমার বক্তব্য বুঝতে পারে এবং বলেছিল, ‘এটি আরো কঠিন কাজ।”
মিউজিক্যাল-রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার ‘তাল’ সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেন— অনিল কাপুর, অক্ষয় খান্না, অমরিশ পুরি, অলক নাথ, সুষমা শেঠ প্রমুখ। ১৯৯৯ সালের ১৩ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ১৫ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৫১ কোটি ১৬ লাখ রুপির বেশি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী