লামিনে ইয়ামাল ১৬ বছর বয়সে স্পেনকে করেছিলেন স্পেনের সেরা। এবার এই তরুণ প্রতিভা নতুন মিশনে নেমেছেন। তিনি তার ক্লাব বার্সালোনাকে চলমান মৌসুমে ইউরোপ সেরা করতে চান, জেতাতে চান চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গারের দাবি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার দৌড়ে সবার আগেই আছে কাতালান ক্লাবটি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে, বার্সেলোনা ৪-১ অ্যাগ্রিগেট ব্যবধানে পরাজিত করে পর্তুগিজ জায়ান্ট বেনফিকাকে। ফলে খুব সহজেই ১৬টি দলের রাউন্ড পার করে কাতালান ক্লাবটি। কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সা মুখোমুখি হবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের। জার্মান ক্লাবটি তাদের ঘরোয়া মৌসুমে কঠিন সময় পার করছে।

অন্যদিকে ইয়ামাল কাটাচ্ছেন অসাধারণ এক মৌসুম। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ১৩টি গোল এবং ১৪টি অ্যাসিস্ট। এই আত্মবিশ্বাস থেকেই এই তরুণ বলে ফেললেন, চ্যাম্পিয়নস লিগা তারাই জিতবে। প্রতিপক্ষে গত মৌসুমে রানার্স আপ জেনেও আত্মবিশ্বাসে কমতি নেই তরুণ উইঙ্গারের।

আরো পড়ুন:

অগ্নিপরীক্ষায় অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন

সদ্য প্রয়াত চিকিৎসককে জয় উৎসর্গ করল বার্সা

ইয়ামাল স্প্যানিশ সংবাদপত্র স্পোর্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলে, "আমরাই চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেবারিট। যখন গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছিল, আমি বলেছিলাম ফেবারিট কারণ তারা প্রথম স্থানে ছিল। কিন্তু এখন তারা হেরে (পিএসজির বিপক্ষে শেষ ষোলোতে) গেছে, তাই ফেবারিট এখন আমরাই।”

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে পিএসজির কাছে ৬-৪ অ্যাগ্রিগেট ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। তবে এবার জার্মান ম্যানেজার হান্সি ফ্লিকের অধীনে এ যেন এক বদলে যাওয়া বার্সা। ইয়ামাল সেই কথায় মনে করিয়ে দিলেন, “আমরা গত বছর পিএসজির কাছে হেরেছিলাম, সেই তুলনায় এবার আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দল।”

ইয়ামাল বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের দায়িত্বে ব্যস্ত। তিনি এখন স্পেনকে উয়েফা ন্যাশনস লিগ চ্যাম্পিয়ন করার মিশনে ব্যস্ত। মার্চের ২০ ও ২৩ তারিখ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্পেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ