প্রথম ইউনিটের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট সম্পন্ন
Published: 19th, March 2025 GMT
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের প্রাইমারি সার্কিট ব্যবস্থা এবং ইকুইপমেন্টের দৃঢ়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ২৪ দশমিক ৫ এমপিএ চাপে হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ইউনিটের রিয়্যাক্টরে ‘হট রান’ পরিচালনা করা হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে রাশিয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। যেমন- প্রাথমিক প্রস্তুতি, প্রাইমারি সার্কিটে পানি ভর্তি করা, প্রয়োজনীয় চাপ ও তাপমাত্রা অর্জন ইত্যাদি। হাইড্রোলিক টেস্ট চলাকালে বিভিন্ন প্যারামিটারের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অটোমেটেড প্রসেস কনট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ইকুইপমেন্টগুলোর অবস্থা পরিপূর্ণভাবে মনিটর করেন এবং নকশা অনুযায়ী ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ইন্ডিকেটর পর্যালোচনা করেন।
আরো পড়ুন:
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: রাশিয়া থেকে আসছে ৫০ টন ক্ষমতার ক্রেন
গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১ লাখ টাকা জরিমানা
বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরী বলেন, “রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে সফলভাবে হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে আমাদের প্রকল্পের উচ্চ গুণগত মান এবং নিরাপত্তা মান নিশ্চিত হয়েছে। এই ধাপটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা পরবর্তীতে রিয়্যাক্টরের হট রান করার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ দশকগুলোতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে রূপপুর প্রকল্প একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখবে।”
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটিতে প্রতিটি ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি পাওয়ার ইউনিট থাকছে। ইউনিটগুলোতে স্থাপিত হয়েছে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর রিয়্যাক্টর।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র র পপ র প প রথম ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।