Risingbd:
2025-08-01@21:09:45 GMT

বগুড়ায় বাস চলাচল স্বাভা‌বিক

Published: 19th, March 2025 GMT

বগুড়ায় বাস চলাচল স্বাভা‌বিক

বগুড়ার দুই মোটর শ্রমিক নেতা‌র উপর হামলায় জ‌ড়িত‌দের তিন‌ দি‌নের মধ্যে গ্রেপ্তা‌রের আল্টি‌মেটাম দেওয়ার পর শ্রমিক‌দের কর্মবির‌তি উঠি‌য়ে নি‌য়ে‌ছে সংগঠন‌টি। 

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টা থে‌কে কর্মবির‌তি উঠি‌য়ে নেওয়া হয়। এরপর থে‌কে প্রত্যেক‌টি রু‌টে যান চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে। 

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ।

প‌রিবহন মালিক স‌মি‌তির এই নেতা ব‌লেন, “বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলীর উপর হামলার ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত সকল‌কে আগামী তিন‌দিনের ম‌ধ্যে গ্রেপ্তা‌রের আল্টি‌মেটাম দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। সকল রু‌টে বাস চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে। ত‌বে বে‌ধে দেয়া সময়সীমার ম‌ধ্যে জ‌ড়িত‌দের গ্রেপ্তার কর‌তে না পার‌লে পরবর্তী কর্মসূচী দেয়ার কথা জানানো হ‌য়ে‌ছে।”

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোডে নারিকেল ব্যবসায়ীদের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের উদ্ভুত প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হয়। তা‌দের থামাতে গিয়ে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলী আহত হন। প‌রে স্থানীয়রা তা‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভ‌র্তি করান। বর্তমা‌নে তার সেখা‌নে চি‌কিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন।

এই হামলার জের ধরে বুধবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা শহরের চারমাথা, ঠনঠনিয়া, হাড্ডিপট্টি, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় লাঠি-সোটা নিয়ে সড়কে নেমে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন। আকস্মিকভাবে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়েন যাত্রীরা।

এছাড়া ঐ ঘটনার জে‌রে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা স্টেশন রোডে বন্ধ রাখা নারিকেলের দুইটি আড়তে ভাঙচুর চালি‌য়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঢাকা/এনাম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

কাজের আনন্দই জীবনের সার্থকতা

জন্মদিনের অনুষ্ঠান নয়, তবে অনানুষ্ঠানিক আয়োজনটি ছিল সে উপলক্ষেই। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ ও সুবক্তা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন ছিল গত ২৫ জুলাই। তাঁর অগণিত অনুরাগীরা চেয়েছিলেন তাঁকে নিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মিলিত হতে। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেছে, তারপর আর জন্মদিনের অনুষ্ঠান করতে কিছুতেই সম্মত হননি তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ষষ্ঠতলায় কেন্দ্রের প্রাক্তনী ও তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠজন আলাপচারিতার এক ঘরোয়া আয়োজন করেছিলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে। সেখানে তিনি বললেন, কাজের মধ্য দিয়ে জীবনে যে আনন্দ পেয়েছেন, সেটিই জীবনের সার্থকতা। এই আনন্দই তাঁকে অনুপ্রাণিত করে, শক্তি জোগায়।

এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন। তিনি তাঁর চিরপরিচিত সরস অথচ বুদ্ধিদীপ্ত গভীর তাৎপর্যময় কথায় উত্তর দিয়েছেন। কবিতা, সাহিত্য, শিল্প থেকে শিক্ষা, ইতিহাস, দর্শন, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠন, প্রেম–ভালোবাসা—সবকিছু উঠে আসে প্রশ্নোত্তরভিত্তিক কথোপকথনে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে শুরু করে বিশ্বসাহিত্যের বহু কালজয়ী লেখকের রচনা থেকে প্রচুর উদ্ধৃতি দিয়েছেন তিনি। এক অন্তরঙ্গ প্রাণবন্ত আবহ বিরাজমান ছিল সন্ধ্যা থেকে অনেকটা রাত অবধি এই আয়োজনে।

আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় শুরুতেই আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের একটি কবিতা আবৃত্তি করে জানতে চান, তিনি কবিতার চর্চা করেননি কেন? জবাবে তিনি বলেন, কবি শামসুর রাহমান একবার তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর মধ্যে কবিত্বের ঘাটতি আছে। তাঁর নিজেরও সে রকম মনে হয়েছে। তারপর সাহিত্য পত্রিকা কণ্ঠস্বর প্রকাশ ও অনেক রকম কাজ করতে গিয়ে আর কবিতা লেখা হয়ে ওঠেনি।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, এখন একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে দেখেন, কী আশা করেন তাদের কাছে?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘তরুণেরা কী হবে, তা তরুণদের ওপরে নির্ভর করে না। সেটা নির্ভর করে আমরা তাদের কী বানাতে চাই, তার ওপর। দেখতে হবে তরুণদের গড়ার মতো আমাদের ক্ষমতা কতটা আছে। অর্থাৎ শিক্ষক কেমন হবে, তার ওপরে নির্ভর করে তাঁর ছাত্র কেমন হবে। সক্রেটিস শিক্ষক ছিলেন বলে ছাত্র প্লেটো হয়েছেন। প্লেটোর শিক্ষা পেয়ে ছাত্র অ্যারিস্টটল হতে পেরেছেন। বড়দের যদি বড়ত্ব না থাকে, তবে ছোটরা বড় হতে পারে না। দুর্ভাগ্য যে আমরা বড়রা তাদের সামনে আদর্শ দাঁড় করাতে পারিনি। ফলে এখন বড়দেরই ছোটদের পেছনে দাঁড়াতে হচ্ছে।’

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম জানতে চান, তিনি এত বিচিত্র ধরনের এত বিপুল কাজ করেছেন। এই প্রাণশক্তি পান কেমন করে?

উত্তর দিতে গিয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘শক্তি আসে আনন্দ থেকে। কাজ করতে পারাটাই আনন্দের। আর সব সময় আশাবাদী থাকি। আশা কখনো শেষ হয় না। আশা শেষ মানে আমি শেষ।’

আলাপচারিতায় আরও অংশ নেন দুদক চেয়ারম্যান এম এ মোমেন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, চিকিৎসক আমজাদ হোসেন, অভিনয়শিল্পী খায়রুল আলম সবুজ, কথাশিল্পী আনিসুল হক, ছড়াকার আমিরুল ইসলাম, উপস্থাপক আবদুন নূর তুষার, অভিনয়শিল্পী আফসানা মিমি, মশিউর রহমান, আলী নকী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রাক্তনী খাদিজা রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ