এরদোগানের প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ইস্তাম্বুলের মেয়র ইমামোগলু আটক
Published: 19th, March 2025 GMT
দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ও ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ বুধবার তাকে আটক করা হয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
৫৪ বছর বয়সী মেয়র একরেম ইমামোগলুর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ দেশজুড়ে বিরোধীদের ওপর প্রায় মাসব্যাপী ধরপাকড় অভিযানের মাঝে এসেছে। ইমামোগলুর জনপ্রিয়তা আগামী যেকোনো নির্বাচনে ভালো ফলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মাঝেই তাকে আটকের ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন।
তবে তুরস্কের সরকার বিরোধীদের আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, দেশের বিচারবিভাগ স্বাধীন। গত মাসে দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দি এক নেতা গোষ্ঠীটির সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দেন। এর মাধ্যমে দেশটিতে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা বিদ্রোহের অবসানের পথ তৈরি হয়েছে; আঞ্চলিক শান্তির জন্যও বিদ্রোহীদের এই ঘোষণাকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক কিছু জরিপে একরেম ইমামোগলুকে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের চেয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে পৃথক দুটি তদন্ত চলছে; যার মধ্যে অপরাধমূলক সংগঠনের নেতৃত্বদান, ঘুষ লেনদেন ও টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ইস্তাম্বুলের দুই মেয়াদের এই মেয়র বলেছেন, তিনি কোনও কিছুতেই হাল ছাড়ছেন না এবং চাপের মুখেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন।
আগামী ২০২৮ সালে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনের আগে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) আনুষ্ঠানিকভাবে ইমামোগলুর নাম ঘোষণার কথা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক আটক এরদ গ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।