বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, দুই দিন ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজার নিরীহ জনগণের ওপর যে বর্বর হামলা চালাচ্ছে তা শুধু অমানবিক নয়, মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে মাওলানা মামুনুল হক ও জালালুদ্দীন আহমদ এ কথাগুলো বলেন। তাঁরা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ইসরায়েল যে নৃশংসতা দেখাচ্ছে, একে মানবতার বিরুদ্ধে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। নির্বিচার বোমাবর্ষণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া—এ সবই গণহত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বমোড়ল আমেরিকার ভূমিকা আরও ন্যক্কারজনক। এরা গাজা সমস্যা সমাধানের নামে ইসরায়েলি নেকড়েদের গাজার নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে নিষ্পাপ শিশু, অবলা নারী, বয়োবৃদ্ধ কেউই নিরাপদ নয়।

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দুই নেতা আরও বলেন, বিশ্ববাসী যখন ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার, তখন ইসরায়েলের এই রক্তপাতের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারা শুধুই অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষদের হত্যা কোনোভাবেই আত্মরক্ষা হতে পারে না, বরং এটি যুদ্ধাপরাধ। এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়, ইসরায়েল ও তার দোসর যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অবৈধ দখলদার জায়নবাদী ইহুদিদের পবিত্র আকসা থেকে উৎখাত করে আলাস্কা অঞ্চলে পুনর্বাসন করা দরকার। মানুষের সমাজে বসবাসের কোনো শিক্ষা ইসরায়েলি নেকড়েদের কখনোই ছিল না। এরা মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্রক্সি বটে। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর, অবরোধ প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।

বিবৃতিতে বলা হয়, মজলুম গাজাবাসীর পক্ষে দাঁড়ানো এখন বিবেক ও সময়ের দাবি। যারা নীরব, তারা এই হত্যাযজ্ঞের অংশীদার। গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের বিবৃতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান খেলাফত মজলিসের নেতারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ক র যকর

এছাড়াও পড়ুন:

মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাইও ট্যাংকে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডোমাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম সোহেল আহমদ (২৭)। তিনি ডোমাবাড়ি এলাকার মজম্মিল আলীর ছেলে ও পেশায় দিনমজুর ছিলেন। আহত হয়েছেন তাঁর ছোট ভাই ইমন আহমদ (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে টয়লেটে যান সোহেল। তাঁর কোমরে লুঙ্গিতে গুঁজে রাখা মানিব্যাগ কমোডের ফাঁক দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে মানিব্যাগটি তুলতে ট্যাংকে নামেন তিনি। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও সোহেল না ওঠায় খোঁজ নিতে ট্যাংকে নামেন ছোট ভাই ইমন। এরপর তাঁদের আর কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে জুড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মই ব্যবহার করে ট্যাংকে নেমে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন।

জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শামীম আহমদ বলেন, দুই ভাই ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা অসিত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই সোহেল আহমদ মারা যান। ইমন আহমদ আশঙ্কামুক্ত। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
  • মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ হাজার ছাড়াল
  • গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের
  • শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও তা করে নাই: আসিফ নজরুল
  • সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল: বলছে ইসরায়েলভিত্তিক দুই মানবাধিকার সংস্থা
  • ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’