চট্টগ্রামে এক তরুণকে আটক করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। স্থানীয়দের তোপের মুখে ছেলেকে আটক করতে না পারলেও পরে বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের হালিশহর থানার বড়পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ওই তরুণের নাম মো. শাবু। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। 

তবে শাবুর পরিবারের দাবি, শাবুর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। আটকের সময় পুলিশের কাছে মামলা সংক্রান্ত তথ্য চাইলে তাদেরকে মারধর করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিকেলে নগরের বড়পোল এলাকায় মো.

লোকমানের ছেলে মো. শাবুকে আটক করতে যায় হালিশহর থানার এসআই জিয়াউল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় পরিবারের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে শাবুক কেড়ে নেয়। এসময় স্থানীয় লোকজনও জড়ো হয়। তোপের মুখে পড়ে পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে শাবুর বাবা মো. লোকমানকে আটক করে থানায় আনা হয়।

হালিশহর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, যুবলীগ কর্মী শাবুর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাকে আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয় তার পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।

শাবুর পরিবারের অভিযোগ, শাবুকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল এসআই জিয়াউল। এ সময় পরিবারের লোকজন তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় এসআই জিয়াউল শাবুর মাকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ তাদের। এছাড়া এসআই জিয়াউল হালিশহরজুড়ে লোকজনকে আওয়ামী লীগ কর্মী দাবি করে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, 'এসব অভিযোগ সত্য না। বরং তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে।'

এসআই জিয়াউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি অসুস্থ। কথা বলতে পারছি না।' এটা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক আটক করত পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই নারীসহ তিনজনকে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন ও রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জয়নাল আবদীন (২০), রুজিনা আক্তার (৩২) ও মোসাম্মৎ রূপধন (৪৮)। তাঁরা জয়নগর গ্রামেরই বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, রাতে ওই এলাকায় মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক মাদক কারবারিকে ধরতে তারা অভিযান চালায়। আলমগীরকে আটক করা হলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় আহত এসআই তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তিনগরে বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩
  • শিক্ষক রায়হান অভিযুক্ত হলেও নাম নেই অস্ত্র ব্যবসায়ীর
  • দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত