ঢাকা কলেজস্থ গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
Published: 20th, March 2025 GMT
ঢাকা কলেজস্থ গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের ২ নং গ্যালারিতে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্র কল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনিচুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষার্থীদের ঐক্য, সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। সামনের দিনে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে ছাত্রদের কল্যাণে আরও কাজ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি হাসিবুল হাসান সজীব বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ছাত্রদের যে কোনো অসুবিধা আমরা আমাদের মতো করে সমাধানের চেষ্টা করব।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজস্থ গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি রাহাদ মোল্লা। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ছাত্র কল্যাণের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মৃধা। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর কমেট, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হাসান, সদস্য সচিব মিল্লাদ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজিবুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হাওলাদার, নিউমার্কেট থানা যুবদলের সদস্য সচিব কে এম চঞ্চল, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ছাত্র কল্যাণের অন্যতম উপদেষ্টা প্রদীপ অধিকারী, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নুরুল আলম আলামিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোদোয়ান ইসলাম হিমেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সাইফুদ্দিন জিসান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র প র ট ছ ত র কল য ণ র গ প লগঞ জ জ ল ছ ত রদল র স কল জ ছ ত র অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।
এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।
এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।
সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’