পটুয়াখালীর দুমকীতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি সিফাত মুন্সীকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, এ ধর্ষণ মামলার দুই আসামির মধ্যে দুই জনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি এলাকায় গণ অভ্যুত্থানে নিহত বাবার কবর জিয়ারত করতে যায় শহীদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। কবর জিয়ারত শেষে একই এলাকায় থাকা নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে সন্ধ্যাও হয়ে যায়। এ সময় একই এলাকার মুন্সী বাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (২০) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (১৯) ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একটি নির্জন বাগানে নিয়ে দুইজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই দুই যুবক ধর্ষণের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ধর্ষক সাকিব মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু সিফাত মুন্সী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর শুক্রবার ভোর ৫টায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

এদিকে গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মেয়ে ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে আসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন। এছাড়া লন্ডন থেকে ফোনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা’র সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারা সবাই ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নেন এবং তারা প্রত্যেকেই পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে (জাকির) উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

এসময় জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩১ দফা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। ভোটের অধিকার ছিলনা। তাই ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আল আমিন, সৈয়দ গোলাপ, মোক্তার, কাজী শান্ত, সেচ্ছাসেবকদলের দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আসাদ, মোশাররফ, ছাত্রদলের লাদেন হোসেন, শিপন, আবির, আপন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ