রাফিনিয়া: ‘ওই কীরে, ওই কীরে, মধু, মধু’
Published: 21st, March 2025 GMT
ঢাকায় সম্প্রতি এক তরমুজ বিক্রেতা ভাইরাল। তরমুজ কেটে ভেতরের লাল অংশ বের করে রসালো কণ্ঠে হাঁক দেন, ‘ওই কীরে কী, মধু, মধু।’ তরমুজটি পাকা, রসালো ও মিষ্টি—এটা বোঝাতে সেই বিক্রেতার এই সংলাপ এখন অনেকের মুখে মুখে।
ফুটবল খেলার সঙ্গে তরমুজের কোনো সংযোগ নেই। তরমুজ দেখতেও ফুটবলের মতো গোলাকার নয়। কিছুটা চ্যাপটা ও ডিম্বাকৃতির। কিন্তু সেই বিক্রেতার ভাইরাল হওয়া সংলাপের সঙ্গে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স চাইলে মিলিয়ে নিতে পারেন। যেমন ধরুন, রাফিনিয়া। চলতি মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের পারফরম্যান্স দেখে তাঁর ভক্তরা হাঁক দিতেই পারেন—‘রাফিনিয়া, ওই কীরে, ওই কীরে, মধু, মধু!’
আরও পড়ুনশেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুস–জাদুতে ব্রাজিলের দারুণ জয়৫ ঘণ্টা আগেরাফিনিয়া-মধুর সাম্প্রতিকতম ফোঁটাটি আজ পড়েছে কলম্বিয়ার জালে। পেনাল্টি থেকে গোল করায় অবশ্য সেই ‘মধু’কে তেমন আহামরি ‘মিষ্টি’ বলবেন না অনেকেই, কিন্তু ব্রাজিলের ২-১ গোলে জয়ের স্কোরলাইন বিচারে ওই গোলের গুরুত্বও অসামান্য। আর পেনাল্টি থেকে গোল করাটা মোটেও সহজ নয়। দূরত্ব যতই মাত্র ১২ গজ হোক না কেন, স্নায়ুচাপ সামলে লক্ষ্য ভেদ করতে হয় এবং রাফিনিয়া সেটাও করেছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
দুর্দান্ত এক মৌসুমই কাটছে রাফিনিয়ার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা
বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।
চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!
২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।