কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ১৫
Published: 21st, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার খোকসায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে খোকসার বিলজানি বাজারের পূর্ব পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় এক শিশু বাদে বাসের ১১ যাত্রীর সবাই গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন হেলাল (৫৪), সোলাইমান (৪০), রবিউল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৩), রফিকুল (৪২) ও আমির হোসেন (৪৫)।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকল্প পথে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, রাতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা শুভ বসুন্ধরা পরিবহনের বাসটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাসের হেলপার জাহাঙ্গীর জানান, তার গাড়ি ঠিকভাবে চলছিল। ট্রাকের চালক এলোমেলো আসছিল। ওই গাড়ি বাসের সামনে এসে ধাক্কা দেয়।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বার আনছার আলী জানান, ঠিক ১২টা ২ মিনিটে বিকট শব্দ পেয়ে তিনি রাস্তায় আসেন। লোকজন নিয়ে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পরেন। তিনি জানান, বাসের এক শিশু যাত্রীবাদে ১০/১১ জন যাত্রী, ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজার সবাই আহত হয়েছেন। দুই গাড়ির চালকদের একটি বাসে রাজবাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।