অ্যাপলের ইয়ারবাড এয়ারপডসে এবার সরাসরি (লাইভ) অনুবাদ–সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। নতুন এই সুবিধা আইওএস ১৯ হালনাগাদের অংশ হিসেবে যুক্ত হবে; যা ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্সে (ডব্লিউডব্লিউডিসি) উন্মোচন করা হতে পারে।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারপডসের সঙ্গে আইফোনের অনুবাদ অ্যাপ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সরাসরি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ শুনতে পারবেন। নতুন এই সুবিধা ভ্রমণকারী, বহুভাষিক ব্যবহারকারী ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী এয়ারপডস পরে থাকলে আইফোন আশপাশের কথপোকথন শনাক্ত করবে, তা অনুবাদ করবে এবং ব্যবহারকারীর কানে সরাসরি শুনিয়ে দেবে। উদাহরণ হিসেবে একজন ইংরেজিভাষী ব্যবহারকারী এয়ারপডস পরে আছেন এবং তার সঙ্গে একজন স্প্যানিশভাষী কথা বলছেন। আইফোন সেই কথোপকথন শনাক্ত করে ইংরেজিতে অনুবাদ করবে এবং সেটি এয়ারপডসে শোনাবে। একইভাবে ইংরেজিভাষী ব্যক্তির উত্তর আইফোন স্প্যানিশে অনুবাদ করে উচ্চারণ করবে, যাতে অপর ব্যক্তি সেটি বুঝতে পারেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন এই সুবিধা স্মার্ট অডিও যন্ত্রের বাজারে অ্যাপলকে আরও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে আসবে। গুগলের পিক্সেল বাডস প্রো ২ ও স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস ৩ প্রো-তেও একই রকম অনুবাদ–সুবিধা রয়েছে। তবে অ্যাপলের উন্নত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সমন্বয়ের কারণে এর অনুবাদ অভিজ্ঞতা আরও নিখুঁত হতে পারে।

সরাসরি অনুবাদ–সুবিধার পাশাপাশি আইওএস ১৯–এর নতুন হালনাগাদে অনুবাদ অ্যাপে বেশ কিছু নতুন সুবিধা যোগ করা হচ্ছে; যা অনুবাদব্যবস্থাকে আরও দ্রুত ও নির্ভুল করবে। এ ছাড়া অ্যাপল তৃতীয় প্রজন্মের এয়ারপডস প্রো এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন মডেল তৈরির কাজ করছে। যেখানে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থাকবে। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর চারপাশ বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ব দ স ব ধ আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি

শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”

ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”

সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”

“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি