মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের উদ্যোগে সারা দেশের ৩০০ চিকিৎসা ও বিক্রয় কেন্দ্রে একযোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পে আগতদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দের নগর বিপণন কেন্দ্রের চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লি, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড.

হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।

সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার হারুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আনোয়ার, উপ-পরিচালক বিপণন ডা. তৈমুর চৌধুরীসহ হামদর্দের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ বৈষম্য ও দুর্নীতিবিরোধী চেতনায় যাত্রা শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় হামদর্দ বাংলাদেশ মানুষের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। হামদর্দের কল্যাণে দেশের অসংখ্য মানুষ আজ সেবা ও সহমর্মিতা পাচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সততার আদর্শ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করা।

ঢাকা/সুমন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মদর দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ