ভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন আরও ৪ নারী ফুটবলার
Published: 28th, March 2025 GMT
ভুটানের ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে খেলার জন্য এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন। এবার আরও চার নারী ফুটবলারকে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাঁরা হলেন ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও সাবিনা খাতুন।
গত ৩০ জানুয়ারি নারী ফুটবলে বিদ্রোহ করা ১৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিলেন এই চারজনও। চারজনকেই নিচ্ছে ভুটান প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন পারো এফসি।
আজ প্রথম আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন সর্বশেষ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ফুটবলার ঋতুপর্ণা। কয়েক দিন আগেই তাঁরা বাফুফের কাছ থেকে ছাড়পত্র পান।
এখন দেশ ছাড়ার অপেক্ষা। রুপনা–মাসুরার ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলার কথা থাকলেও এখনো তাঁদের ভুটান যাওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঋতুপর্ণা, মনিকা, সুমাইয়া ও সাবিনার ৬ এপ্রিল ভুটানের বিমান ধরার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত রাঙামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা। বললেন, বিদেশি লিগে খেলা সব সময়ই আনন্দের। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের হয়ে আরও সাফল্য বয়ে আনতে চান, ‘বিদেশি লিগে খেলতে পারলে অনেক কিছুই শেখা যায়। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতাও হয়। সেই অভিজ্ঞতা আবার জাতীয় দলে কাজে লাগাতে পারি।’
এদিকে ছুটিতে থাকা নারী দলের কোচ পিটার বাটলারও মনিকা–সাবিনাদের ভুটান লিগে খেলার খবর পেয়ে খুশি। প্রথম আলোর মাধ্যমে জানিয়েছেন শুভকামনা, ‘খুবই ভালো। তাদের জন্য শুভকামনা রইল।’
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ঋতুপর্ণা, মনিকা, সুমাইয়া, সাবিনা, মাসুরা, রুপনা ছাড়াও মোসাম্মাৎ সাগরিকা ভুটানের লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন। শিগগিরই ছাড়পত্র পেয়ে যেতে পারেন ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের এই নারী ফুটবলার।
বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।
এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।
১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫