লাখো মুসল্লির জন্য প্রস্তুত দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ
Published: 29th, March 2025 GMT
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোমবার উদযাপন করা হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ। কর্তৃপক্ষের আশা, এবার কয়েক লাখ মুসল্লি এ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। আশপাশের জেলার মুসল্লিরা যাতে গোর-এ-শহীদ ময়দানে সহজে আসতে পারেন, সেজন্য দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে গোর-এ-শহীদ ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, ধোয়া-মোছা, পানি ছিটানোসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সুপেয় পানি ও অজুখানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো.
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেছেন, গতকাল শুক্রবার গোর-এ- শহীদ ঈদগাহের প্রস্তুতিকাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এটি দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এখানে আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুটি স্পেশাল ট্রেনের একটি ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে সেতাবগঞ্জ হয়ে গোর-এ-শহীদ ময়দানের উদ্দেশে আসবে। অপরটি পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে চিরিরবন্দর হয়ে আসবে।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ত ব যবস থ ঈদগ হ ম র জন য ময়দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এমন রাত বাড়তে থাকলে একসময় ইসরায়েলিরা প্রশ্ন তুলবে, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি?’
আকাশপথে ইরানের চালানো পাল্টা হামলা থেকে ইসরায়েলিরা কতটা সুরক্ষিত? এই প্রশ্নের উত্তর ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজের সাংবাদিক গিদেওন লেভির কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছে আল-জাজিরা।
গিদেওন লেভি আল-জাজিরাকে বলেন, বেশির ভাগ ইসরায়েলি আকাশপথের হামলা থেকে ‘খুব ভালোভাবে সুরক্ষিত’।
তবে গিদেওন লেভি বলেন, এমন হামলা চলতে থাকলে ইসরায়েলিরা একসময় শুধু ক্লান্ত আর ভীতই হবেন না, একসময় যুদ্ধের পর যুদ্ধ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলবেন। এভাবে তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।
আরও পড়ুনখামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা ট্রাম্পের আটকানোর কথা জানিয়ে দেওয়ার মানে কী৩ ঘণ্টা আগেগত শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চলমান ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের অন্তত ২০ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। ইরানও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
আকাশপথে চালানো হামলা থেকে ইসরায়েলিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিক গিদেওন লেভি বলেন, ইসরায়েলে ‘অ্যালার্ম সিস্টেম’ খুব কার্যকরভাবে কাজ করে। এবার তাঁরা ‘সাইরেন’ বাজার অনেক আগেই ‘অ্যালার্ম’ পাচ্ছেন। ফলে তাঁরা নিজেদের প্রস্তুত করার সময় পাচ্ছেন। যেমন তেল আবিবের বেশির ভাগ এলাকায় অনেকর আশ্রয়কেন্দ্র আছে। তা ছাড়া নতুন প্রতিটি ভবনেই নিজস্ব আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ কক্ষ থাকে। এই দিক থেকে দেখলে ইসরায়েলের সাধারণ জনগণ যথেষ্ট সুরক্ষিত।
ইসরায়েলে ‘অ্যালার্ম সিস্টেম’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আকাশপথে হামলার বিষয়ে লোকজনকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। অন্যদিকে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় আকাশপথে হামলা শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে ‘সাইরেন’ বাজানো হয়।
আরও পড়ুনইসরায়েল প্রশ্নে কেন মোদির অবস্থান নরম, কড়া সমালোচনা কংগ্রেসের৩ ঘণ্টা আগেতবে গিদেওন লেভি উল্লেখ করেন, এই সুরক্ষা সব ইসরায়েলির জন্য সমান নয়। যেমন বেদুইন জনগোষ্ঠী কিংবা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা এ সুবিধা পান না।
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের উত্তরের ফিলিস্তিনের প্রধান শহর তামরার উদাহরণ দেন গিদেওন লেভি। শহরটিতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে গতকাল রোববার একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় অন্তত চারজন নিহত হন। এখানে কোনো সুরক্ষা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। কিন্তু পাশের একটি এক হাজার জনসংখ্যা–অধ্যুষিত ইহুদি গ্রামে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র আছে বলে জানান গিদেওন লেভি।
সাংবাদিক গিদেওন লেভি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ রকম রাত যত বাড়বে, ইসরায়েলিরা শুধু ক্লান্ত আর ভীতই হবেন না, বরং একসময় আমরা শেষমেশ নিজেরাই প্রশ্ন করতে শুরু করব—এর কি কোনো মূল্য আছে? আমরা কোথায় যাচ্ছি? এক যুদ্ধ থেকে আরেক যুদ্ধে? এক গোলাবর্ষণ থেকে আরেক গোলাবর্ষণে? কারণ, এবারের পরিস্থিতি গাজা বা লেবাননের মতো নয়। এবার বেসামরিক জনগণের খেসারত হতে পারে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ইসরায়েল কয়েক দিন এটা সহ্য করতে পারবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নয়।’
ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার পর ইরানের নতুন সামরিক নেতৃত্বে কারা এলেনইসরায়েলি হামলায় নিহত আইআরজিসি গোয়েন্দাপ্রধান কাজেমি কে ছিলেনইরান-ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা হামলা: সর্বশেষ কী জানা গেল