শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে এক দিন আগেই চলে আসেন অনেকে
Published: 31st, March 2025 GMT
মো. সুরুজ আলীর বয়স ৮৫ বছর। পাকিস্তান আমল থেকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে আসেন তিনি। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা এলাকায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগেই তিনি শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর আগে থেকে শোলাকিয়ায় আসছেন। প্রতিবারই এক-দুই দিন আগেই তিনি কিশোরগঞ্জে এসে মাঠের আশপাশে থাকেন। এবার শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে গতকাল রোববার থেকে অবস্থান নেন।
শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এ রকম কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে এক থেকে দুই দিন আগেই চলে আসেন। কেউ আবার দূর থেকে দুই-তিন দিন আগেও চলে আসেন। তেমনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের আরেকজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি জানান, তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন।
বাগেরহাট থেকে মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বকশিশের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা: সহকর্মীর যাবজ্জীবন
বকশিশের ১০০ টাকা না পেয়ে কাজী মারুফ নামে এক তরুণকে হত্যার ঘটনায় তার সহকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন গোলাম রাব্বী (২২)। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ মে সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এসকে ফিলিং স্টেশনে বকশিশের ১০০ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাম রাব্বী নামের এক তরুণ তার সহকর্মী কাজী মারুফে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের মা মিনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাব্বীকে একমাত্র আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।