রিয়াল মাদ্রিদ-সোসিয়েদাদ কোপা দেল রে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল কোনটি? কোনো দ্বিধা ছাড়াই সবাই বলবেন ১১৫তম মিনিটে অ্যান্টনিও রুডিগারের গোলের কথা। যে গোলে ম্যাচ জিতে কোপা দেল রের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। তবে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিতে রিয়ালের তৃতীয় গোলটি করে আজীবনের জন্য বিশেষ এক তালিকায় নাম লিখিয়ে নিয়েছেন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি।১০০০০

রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৮৫তম মিনিটে করা অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির গোলটি রিয়াল মাদ্রিদের ১০ হাজারতম অফিশিয়াল গোল।

১২৩

রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাসের প্রথম গোলটি করেছিলেন আইরিশ ফুটবলার আর্থার জনসন। করোনেশন কাপে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের সেই ম্যাচটি ছিল ১৯০২ সালের ১৩ মে। প্রায় সোয়া শ বছর পর ১০ হাজারতম গোলের দেখা পেল মাদ্রিদের ক্লাবটি।

লিগেই অর্ধেকের বেশি

রিয়াল মাদ্রিদের ১০ হাজার গোলের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ৬৫৪৫টিই এসেছে স্পেনের শীর্ষ ফুটবল লিগ লা লিগায়।

রিয়ালের হাজারতম গোলের মাইলফলক ছোঁয়া খেলোয়াড় ১০ জন। এর মধ্যে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি দ্বিতীয় ফরাসি। আগেরজন করিম বেনজেমা, যিনি ২০১০ সালে রিয়ালের ৮ হাজারতম গোলটি করেছিলেন।

হাজারের বেশি

শীর্ষ লিগ ছাড়াও ন্যূনতম ১ হাজার গোল হয়েছে আরও দুটি প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যে স্প্যানিশ কাপ প্রতিযোগিতায় ১৪১৭টি, ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১০৩টি।

মাইলফলকে কে, কবে, কখন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ১০ হ জ র হ জ রতম

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের মাইলফলক হয়: বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ আলোচনাটি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ না থেকে যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের এক মাইলফলক হয়ে ওঠে—এটাই জাতির প্রত্যাশা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কালীনারায়ণ উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার, অর্থ লুটকারীদের সম্পদ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা এবং কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে, যেমনটি জাস্টিস শাহাবুদ্দীন সাহেবকে মানুষ মনে রাখে।’

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কেউ কথা বলতে পারেননি, সভা-সমাবেশ করতে পারেননি। শ্রীপুরের মাওনায় ১৭ জন শহীদ হয়েছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এমনকি জেলে থেকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকে। এ দায় শুধু একটি পক্ষের নয়, যাঁরা ক্ষমতায় আছেন এবং আমরা যাঁরা বাইরে রাজনীতি করছি—দায় সবারই। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায় সবচেয়ে বেশি।’

তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জাহিদ হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলো বেশ কঠিন। রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সঠিক সংস্কার ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়।

রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনীতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়, কোনো অবস্থাতেই নয়।

এর আগে দুপুরে মাওনা চৌরাস্তার একটি রেস্তোরাঁয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সহায়তা তুলে দেন জাহিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মাজাহারুল আলম, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, ইউসিসিএ চেয়ারম্যান এস এম মাহফুল হাসান, কৃষক দলের নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা তাহের মুসুল্লী, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু জাফর সরকার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের মাইলফলক হয়: বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন