অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘‘বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগবো, বাপ ডাইক্কা। আমি কইলামতো বাপ ডাইক্কা। আমাকে গুলি করে মারবেন? আমার আল্লাহ আছে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমাকে রক্ষা করতে পারে, পারে না?’ আমি সত্য কথা বলবোই।’’
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ইটনার মৃগা ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে ঈদ-পরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘যারা রাজাকারদের হাতে নেতৃত্ব ছাড়তে চায়, আমি তাদের ভোট চাই না। আমি ভোট চাই, যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ মানে। যারা এই দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখতে চায়।’’
আরো পড়ুন:
আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬
১৬ বছর পর মুক্ত পরিবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঈদ
তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমার স্বাধীন বাংলাদেশ। এখন কি রাজাকারদের হাতে আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব ছেড়ে দিবো?’’
এ সময়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল, ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম রেখা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম পলাশসহ মৃগা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রুমন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি