সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর পাঠানটুলা ও হাউজিংস্টেট এলাকায় তাদের বাসায় হামলা করা হয়। একই সময়ে আরেক ছাত্রলীগ নেতার বাসায় হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে নগরীতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিলের পর সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। মিছিলের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। 

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পাঠানটুলা এলাকায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় ২০ থেকে ৩০টি মোটরসাইকেলে করে লোকজন এসে তাঁর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালায় বলে আনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। তাঁর পরিবারের কেউ বাসায় ছিলেন না। দুজন তত্ত্বাবধায়ক বাসার দেখাশোনা করতেন। আনোয়ারুজ্জামান লন্ডনে রয়েছেন। 

অন্যদিকে নগরীর হাউজিং স্টেটের শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের অ্যাপার্টমেন্ট ফ্ল্যাটে হামলা করা হয়েছে। ওই সময় ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাসার জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। 

এছাড়া একই সময়ে নগরীর মেজরটিলা এলাকায় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রুহেল আহমদের বাসায়ও হামলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হামলার বিষয়টি পুলিশ জেনেছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সকালে ছাত্রলীগের মিছিল বের করার ঘটনার পর চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী