মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নেমে ফারুক হোসেন (২০) নামে এক তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দ্বিতীয় দিনের মতো তার সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা এলাকায় মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে ফারুক নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজ ফারুক হোসেন নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকার আতিক হোসেনের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিখোঁজ তরুণের বন্ধু জহিরুল ইসলাম বলেন, “বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে আমরা সানারপাড় থেকে ২২ জন তেতৈতলা এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বনভোজনে আসি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিখোঁজ ফারুক ও আমিসহ ৬ জন গোসল করার জন্য পানিতে নামি। আমরা পাঁচজন গোসল করে উপরে উঠে যাওয়ার সময় ফারুক আরো কিছুক্ষণ পানিতে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। পানিতে ডুব দিয়ে সে দীর্ঘক্ষণেও উপরে না উঠলে বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তার হদিস না পাওয়া গেলে পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।”

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রাতের অন্ধকার নেমে এলে অভিযান বন্ধ রেখে আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তার সন্ধানে অভিযান শুরু করে।

বিষয়টি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি আবুল খায়ের বলেন, “খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।”

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “এরকম একটি খবর আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছে।”

ঢাকা/রতন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ