তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি সহজে কথা বলা ও ভিডিও কল করার সুযোগ থাকায় নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। আর তাই ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে সেগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। যে পাঁচ কারণে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রুপে যুক্ত করা

হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে গ্রুপে যুক্ত করার আগে তাঁর অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে অনেক সময় ব্যবহারকারীরা না জেনেই পরিচিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি অপরিচিত ব্যক্তিদের বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত করেন, এতে তাঁদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিরক্তও হন কেউ কেউ। সম্মতি ছাড়া গ্রুপে যুক্ত করার বিষয়ে কোনো ব্যক্তি যদি অভিযোগ করেন তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হওয়ার ৫ লক্ষণ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪স্প্যাম বা অযাচিত বার্তা পাঠানো

হোয়াটসঅ্যাপে স্প্যাম বা অযাচিত বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। আর তাই ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে অনেক ব্যক্তিকে একই বার্তা পাঠানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। স্প্যাম বার্তা পাঠানো হলে তা মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। শুধু তা–ই নয়, স্প্যাম বা অযাচিত বার্তা পাওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যক্তি যদি অভিযোগ করেন তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ।

অননুমোদিত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ ব্যবহার

অনেকে হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তিত বা অননুমোদিত সংস্করণ ব্যবহার করেন, যা প্ল্যাটফর্মটির নীতিমালার পরিপন্থী। এসব অ্যাপের নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ায় ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব অ্যাপ ব্যবহার করলে অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ও ছবি নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করতে হবে এই ৫ সুবিধা১১ মার্চ ২০২৫অতিরিক্ত বার্তা ফরোয়ার্ড

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে গুজব বা মিথ্যা তথ্য খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও গুজব ছড়ায়। কিন্তু অনেকে যাচাই না করেই অন্যদের পাঠানো মিথ্যা বার্তা বা ছবি ফরওয়ার্ড করেন। আর তাই একই বার্তা একাধিকবার ফরোয়ার্ড করলে অ্যাকাউন্ট সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ।

নীতিমালা লঙ্ঘন

হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা বেশ কঠোর। এই নীতিমালা ভঙ্গ করে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, অবৈধ কার্যক্রম, হুমকি দেওয়া বা আপত্তিকর কনটেন্ট শেয়ার করলে অ্যাকাউন্ট সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ।

সূত্র: নিউজ ১৮

আরও পড়ুনআপনার অগোচরে কেউ কি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দেখছে২৪ জুলাই ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প টসঅ য প অ য ব যবহ র কর ন ষ দ ধ কর টসঅ য প র য ক ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩

নরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইসমাইল হোসেন (২৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলার বিএডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলসহ আরো একজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নির্বাচনি এলাকায় শোডাউন করতে যান। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ