বিশ্বব্যাপী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প মানুষবিহীন নির্জন মেরুদ্বীপেও শুল্ক আরোপ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঙ্গুইনের মিম ভাইরাল হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বহির্ভাগে অবস্থিত হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের পার্থ থেকে দুই সপ্তাহের নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে এখানে যাওয়া যায়। এই দ্বীপগুলোতে মানুষের শেষ পা রাখা প্রায় ১০ বছর আগে হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মানুষ বাস না করলেও এখানে চারটি ভিন্ন প্রজাতির পেঙ্গুইন রয়েছে। ট্রাম্প এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে সমস্ত রপ্তানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া একটি ছবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাথে সাম্প্রতিক বিরোধের সময় ওভাল অফিসে ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির জায়গায় একটি পেঙ্গুইনকে দেখা গেছে।
আরেকটি মিমে দেখা গেছে, মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জায়গায় একটি পেঙ্গুইনের দিকে তাকিয়ে আছেন।
ট্রাম্পের সাবেক যোগাযোগ উপদেষ্টা ও প্রধান সমালোচক অ্যান্থনি স্কারামুচি রসিকতা করে এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন,“পেঙ্গুইনরা বছরের পর বছর ধরে আমাদের ঠকিয়ে আসছে।”
মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার লিখেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের উপর নয়, পেঙ্গুইনদের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন।”
হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জই নয়, ব্রিটেনের প্রত্যন্ত ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জেও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। অথচ এই দ্বীপে ১০ লাখ পেঙ্গুইন বাস করে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব পপ ঞ জ প ঙ গ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।