Samakal:
2025-11-03@02:13:09 GMT

সব মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্ক

Published: 5th, April 2025 GMT

সব মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্ক

বিশ্বের দুই বড় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখন প্রকট ও দৃশ্যমান। দুই দেশই একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নিচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে আদাজল খেয়ে বাণিজ্যযুদ্ধে নামেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের পণ্যে প্রকারভেদে তিনি বিভিন্ন মাত্রার শুল্ক আরোপ করেন। এবার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর হচ্ছে চীন। তারা মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। 

চীন ছাড়াও ট্রাম্প মিত্র কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিও একই আচরণ করছেন। তিনি জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান ও কানাডা থেকে আসা গাড়ির ওপর বড় শুল্ক আরোপ করেছেন। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেও মার্কিন ভোক্তাদের ওপর পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়েও ওই দেশগুলো কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, সামারিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টার্বিয়াম, ডিসপ্রোজিয়াম, লুটেনিয়াম, স্ক্যান্ডিয়াম, ইট্রিয়ামসহ মাঝারি ও ভারী ‘বিরল খনিজ’ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আনার ঘোষণাও দিয়েছে বেইজিং। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি এটাকে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক বলে বর্ণনা করে আসছেন। এর জেরে গতকাল শুক্রবার চীন মার্কিন পণ্যে নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেয়। চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে নতুন এ শুল্ক। শুল্ক আরোপের পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডাও চলছে। গত বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের নতুন শুল্ককে ‘একতরফা উৎপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। প্রত্যাহার না করলে পাল্টা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দেয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান বেইজিং যেন সামাজিক মাধ্যম টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। টিকটক বিক্রির অনুমোদন দিলে শুল্ক নিয়ে সমঝোতার ইঙ্গিতও দেন ট্রাম্প। বেইজিং এতে রাজি হয়নি। 

চীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ১৬টি মার্কিন কোম্পানির কাছে রপ্তানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ছয়টি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানির চীনে পণ্য রপ্তানি স্থগিত করেছে। মার্কিন ড্রোন নির্মাতা স্কাইডিওসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১১ কোম্পানিকে ‘অবিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে’র তালিকায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়াশিংটনে দুষ্প্রাপ্য খনিজ রপ্তানির ক্ষেত্রেও আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে বেইজিং।

প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের পাশাপাশি ট্রাম্পের শাঁখের করাত কাটছে তাঁর মিত্রদেরও। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে পরিকল্পিত বিনিয়োগ স্থগিত করতে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মাখোঁ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটা পর্যন্ত অপেক্ষমাণ কিংবা সম্প্রতি ঘোষিত বিনিয়োগগুলো স্থগিত করা উচিত। ফরাসি শিপিং প্রতিষ্ঠান সিএমএ সিজিএম যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং লজিস্টিকস প্রদান ও টার্মিনাল নির্মাণে ২ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করলেন। 

আবারও পতনের মুখে শেয়ারবাজার

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন দেখা দেয়। মার্কিন শেয়ারবাজারের মোট দরপতনের পরিমাণ আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। নাইকি, অ্যাপল ও টার্গেটের মতো বড় কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শেয়ারমূল্যে ইতোমধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দর পতন দেখেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প পদক ষ প ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত

ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বেতনের পেশার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাইলট। ফ্রান্সে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ মাসিক বেতনের পেশা। জার্মানিতে জটিল ভূমিকার পাইলটেরা মাসে ২৮ হাজার ৯৬ ইউরো উপার্জন করেন। যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা মধ্যম আয়ে পঞ্চম স্থানে। ডেনমার্কে ২০২৩ সালে মাসিক বেতন ১৩ হাজার ৫২৩ ইউরো, দেশটির হিসাবে সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন।

অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতনের বৈচিত্র্য

পাইলটদের বেতন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। যুক্তরাজ্যে বেতন শুরু হয় বছরে ৫৪ হাজার ২৮৩ ইউরো (৪৭,০০০ পাউন্ড) থেকে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য এটি প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ ইউরো (১ ইউরো সমান ১৪১ টাকা ৭৭ পয়সা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ হিসাবে) পর্যন্ত হতে পারে, জানিয়েছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্যারিয়ার্স সার্ভিস।

ইআরআই অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পাইলটরা এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞ পাইলটের চেয়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি আয় করেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞ পাইলটরা প্রায় তিন গুণ বেশি উপার্জন করেন।

আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫দেশভিত্তিক তথ্য

যুক্তরাজ্য

২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এএনএসের তথ্যানুসারে, পূর্ণকালীন ‘এয়ারক্রাফট পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার’-এর বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ হাজার ২৪০ ইউরো (৮০,৪১৪)। ইআরআইয়ের মতে, গড় বার্ষিক বেতন ৯০ হাজার ২৫৩ ইউরো (৭৮,১৪৬ পাউন্ড), লন্ডনের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ ইউরো (১০০,০৬০ পাউন্ড)।

জার্মানি

জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের তথ্যমতে, গড় মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫৬৬ ইউরো (বার্ষিক ১,৫০,৭৯২ ইউরো)। মধ্যম আয় ১০ হাজার ২০৭ ইউরো (বার্ষিক ১,২২,৪৮৪ ইউরো), অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত পাইলটদের ক্ষেত্রে তা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। ইআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটের গড় বেতন ৭৩,৭৮৫ ইউরো, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৭ ইউরো।

ফ্রান্স

INSEE জানায়, ‘সিভিল এভিয়েশন টেকনিক্যাল ও কমার্শিয়াল ফ্লাইট অফিসার’দের গড় মাসিক বেতন ৯ হাজার ৩০০ ইউরো (বার্ষিক ১,১১,৬০০ ইউরো)। ERI অনুসারে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য গড় বেতন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ ইউরো।

ছবি: এমিরেটসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ