বিচার বিভাগই রাষ্ট্রের একমাত্র অঙ্গ, যা বহু দশক ধরে নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সংস্কারে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। 

তিনি বলেন, “বিচারিক সংস্কার শুধু বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংস্কারের স্থায়ীভিত্তিক মূল চাবিকাঠি নয়, বরং এটি এখন নিজেই সংস্কার শব্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে।” 

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড প্যালেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত “জুডিসিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিশিয়েন্সি” শীর্ষক রিজিওনাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তি গঠনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে, যা সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর কাজেও প্রতিফলিত হচ্ছে।”

তিনি বলেন,  “এছাড়াও ‎ইউএনডিপির সহযোগিতায় বিচারিক সংস্কার রোডশোগুলো এখন শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। যার ফলে জেলা বিচার বিভাগ এবং ম্যাজিস্ট্রেসি নিজস্ব সংস্কার কার্যক্রমে দায়িত্ব নিতে সক্ষম হয়েছে।এখন শুধু আমাদের সংস্কার প্রচেষ্টাগুলো টেকসই করার উপায় খুঁজতে হবে।” 

একই সাথে জেলা বিচার বিভাগ ও ম্যাজিস্ট্রেসি সংস্কার অগ্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে‌ বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহী জেলা আদালতে নতুন হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্টের অনুপ্রেরণায় হয়েছে। রাজশাহীর এই উদ্যোগ বিচার প্রক্রিয়াকে আরও জনবল মুখি করতে আমার দেওয়া ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে গড়ে উঠেছে।” 

তাই ‎রংপুরের আজকের এই সেমিনার সংস্কার প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সারা কুক, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ