জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রস্তাবে সায় দিয়ে ৬ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ঘোষণা করে। সেই ঘোষণা অনুসারে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব জুডে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। ১৮৯৬ সালের এই তারিখে গ্রিসের অ্যাথেন্সে আধুনিক যুগের প্রথম অলিম্পিক গেমের উদ্বোধনের স্মরণে এ তারিখ ঠিক করা হয়।
বাংলাদেশে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ক্রীড়া দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন’।
এই দিবস উপলক্ষ্যে তারুণ্যের শক্তি ধারণ করে আজ (রবিবার) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ক্রীড়া ফেডারেশন, এ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড, ক্রীড়া সংগঠকসহ ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রীড়া দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা ও জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত অনূর্ধ্ব-১৭ শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট। বেলা ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর রয়েছে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। এছাড়াও প্রত্যেক বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় ক্রীড়া সংস্থা দিবসটি উদযাপন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তিনি বলেন, “দেশ বদলের প্রত্যয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশের এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনরুজ্জীবিত করতে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপন করেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধের মেলবন্ধনে আয়োজিত এই উৎসবে তরুণরা তাদের সৃজনশীলতা, মেধা, যোগ্যতা ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে।”
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমাদের তরুণরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করছে। ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে গৌরব ও সুনাম অর্জন করেছে। আমাদের নারীরা গত বছর নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এ শিরোপা জয় করেছে।”
দাবায়ও সাফল্য এসেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দুই দশক পর ইরানের তেহরানে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল ব্রোঞ্জ পদক পুনরুদ্ধার করেছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে যৌথ চ্যাম্পিয়ন এবং নেপালে অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকির ছেলেদের বিভাগে প্রথমবার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ যুব হকি দল। নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে আমাদের তরুণরা।”
তিনি দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন র ধ ব উপলক ষ দ বসট উদয প
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ