কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কানাডা জনপ্রিয় গন্তব্য। কম টিউশন ফি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্ব ও চাকরির সুযোগ কানাডাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়। তবে বৃত্তি পেতে হলে টোয়েফল, আইইএলটিএস, জিআরই বা জিম্যাট পরীক্ষায় ভালো স্কোর থাকা প্রয়োজন। যদিও বৃত্তি পাওয়া প্রতিযোগিতামূলক, তবু এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়ের চাপ কমায়। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের বৃত্তি দেয়। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টাও বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন। ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা কানাডার আলবার্টার এডমন্টনে অবস্থিত। পাবলিক গবেষণাভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমন্টনে চারটি ক্যাম্পাস রয়েছে।
বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা পারমিটসহ বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তির আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ডলার। চার বছরের জন্য প্রযোজ্য এ বৃত্তি। এ ছাড়া গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বৃত্তি, ডক্টরাল বৃত্তি, মাস্টার্স প্রবেশিকা বৃত্তিসহ একাধিক বৃত্তির সুযোগ আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
পড়াশোনার বিষয়গুলো
আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০টির বেশি স্নাতক ডিগ্রি, ৫০০টির বেশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম অফার করে শিক্ষার্থীদের। এগুলো হলো নার্সিং, ফার্মাসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, মেডিসিন ও দন্তচিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, আলবার্টা স্কুল অব বিজনেস, কৃষি ও পরিবেশবিজ্ঞান।
আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতক ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
মাস্টার ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
পিএইচডি ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য মাস্টার ডিগ্রির সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতি
আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত জানতে–
আবেদনের শেষ তারিখ
১ নভেম্বর ২০২৫।
https://www.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।