নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই জয়ের স্বাদ পেলেন নাসির
Published: 7th, April 2025 GMT
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন নাসির হোসেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল। ছয় মাসের স্থগিত সাজা ছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সোমবার ডিপিএলের ম্যাচ দিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে ফেরেন নাসির। মাঠে ফিরেই ৮ উইকেটের বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ডানহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার।
নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়া নাসির ডিপিএলে রূপগঞ্জ টাইগার্সে নাম লিখিয়েছেন। দলটি অবনমনের শঙ্কায় আছে। রাউন্ড রবিন গ্রুপে হাতে তিন ম্যাচ বাকি আছে তাদের। অন্তত দুটিতে জিতলে অবনমন থেকে বাঁচতেও পারে রূপগঞ্জ টাইগার্স। যার প্রথমটিতে জয় পেয়েছে দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ এদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে খেলতে নামে। গাজী গ্রুপ শুরুতে ব্যাট করে ৪২.
জবাবে নেমে রূপগঞ্জ ৩৩.৩ ওভারে জয় তুলে নেয়। দলটির হয়ে ওপেনার আব্দুল মজিদ ৫৩ রান করেন। অমিত মজুমদার ৯৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। নাসির তিনে ব্যাট করতে নেমে ৯ রান করে আউট হন।
নাসিরের ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে বিসিবি এক বার্তায় জানিয়েছে, নাসির ক্রিকেটে ফিরতে সব শর্তপূরণ করেছেন। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা সেশনে অংশ নিয়েছেন। যেটা তার ক্রিকেটে ফেরার পথ খুলে দিয়েছে। এর আগে নাসির জানান, আবাহনীতে নাম লেখানোর সুযোগ থাকলেও নিয়মিত ম্যাচ খেলার কথা চিন্তা করে তিনি রূপগঞ্জ টাইগার্সে যোগ দিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র পগঞ জ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তির সাধক ছিলেন লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী’
লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করে গেছেন। প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন তিনি। এ কারণে তাঁর লেখা, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা এখনকার মানুষের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে তাঁকে নিয়ে প্রথম স্মরণসভা ছিল এটি।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন প্রবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার একজন উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক, মুক্তচিন্তার আলোকবর্তিকা। তাঁর লেখায় যেমন মানবতার বোধ রয়েছে, তেমনি যুক্তি ও প্রগতিশীল চিন্তার শক্ত ভিত্তি রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বাবার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। অথচ দুঃখজনক হলো, এত দিন বাবাকে নিয়ে এ জেলায় আলোচনা বা স্মরণসভা হয়নি। তাঁর মতো মহান প্রাবন্ধিকের জীবন ও দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন চিন্তার দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির সাধক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়।
সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় মোতাহের হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে জানান কবি জুননু রাইন। তিনি বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখনী আজও প্রজন্মকে চিন্তার খোরাক জোগান।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১ এপ্রিল ১৯০৩ সালে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা এবং বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, আবদুল কাদিরের সঙ্গে যৌথভাবে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। বের করেন ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘সংস্কৃতি কথা’ পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।