আইকিউ স্কোর ১৪০! জন্মদিনে রইলো ম্যাডোনার আরও অজানা তথ্য
Published: 16th, August 2025 GMT
রয়টার্স
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুটির হাহাকার, তাওহীদের আর্তনাদ
‘একটা বড় জুটি হলেই হতো’ - বারবার তাওহীদ হৃদয় এই কথাটাই বোঝাতে চাচ্ছিলেন একাধিক প্রশ্নে। ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে ম্যাচ হারের পর দলের সেরা ব্যাটসম্যান বোঝাতে চাইলেন, ‘একটা বড় জুটি হলেই খেলাটা অন্যরকম হতে পারত।’
শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া তাওহীদ ৫০ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি তার ক্যারিয়ার সেরা। তবে, দিন শেষে হাসিটা মুখে রাখতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। স্কোরবোর্ড, উইকেট, লক্ষ্য, শিশির, কোনো কিছুই বাংলাদেশের জন্য জটিল ছিল না। কিন্তু শীর্ষে থাকা ৪ ব্যাটসম্যান ম্যাচকে উপহার দিয়ে আসেন আয়ারল্যান্ডকে।
আরো পড়ুন:
খই খই এখন দ্যুতি ছড়াচ্ছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে
দারুণ জয়ে ক্রিকেট কার্নিভালের কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়ালটন
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশের ৪ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। রান মাত্র ২০। প্রথম বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ২৮তম বল পর্যন্ত। এমন হতশ্রী শুরুর পর জয়ের আশা করা কঠিন। তবুও তাওহীদ চেষ্টা চালিয়ে যান।
ম্যাচ নিয়ে তাওহীদের মূল্যায়ন, ‘‘যদি আমাদের একটা বড় পার্টনারশিপ হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো। আমরা বেশি রানে, বেশি ব্যবধানে হারিনি। একটা পার্টনারশিপ, আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা পার্টনারশিপ ৭০-৮০ পার্টনারশিপ হতো, তাহলে হয়তোবা অন্যরকম একটা সিনারিও হতে পারতো।’’
পঞ্চম উইকেটে জাকের ও তাওহীদ দলের হাল ধরেন। তাওহীদ নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে পারলেও জাকের সময় নিয়েছেন। পরে তা পুষিয়ে দিতে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে শট খেলেন। তাতেই ডেকে আনেন বিপদ। ৩৪ বলে ৪৮ রান আসে তাদের জুটিতে। এছাড়া, নবম উইকেটে শরিফুল ও তাওহীদের জুটি আছে সমান ৪৮ রান। ক্যারিয়ারের সপ্তম টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি তাওহীদ। তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে তার।
তবে দলের পরাজয়ের পেছনে তার মাথায় কেবল ঘুরছে, একটি বড় জুটি না আক্ষেপ, ‘‘অবশ্যই উইকেট অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের কোনো এখানে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের এক্সিকিউশনটা ভালো করতে পারিনি। আর্লি কিছু উইকেট পড়েছে। যখন আমরা খেলাটা ধরেছিলাম, আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই সময় যদি আরেকটু খেলাটা টেনে নেওয়া যেত তাহলে ভালো হতো।”
স্কোরবোর্ড যতই বড় হোক, প্রতিপক্ষ যতই কঠিন হোক নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা বললেন তাওহীদ, ‘‘আমাদের নিজেদের উপরে সেই বিশ্বাসটা রাখতে হবে এবং আমরা অবশ্যই সবাই জিততে চাই। এক্সিকিউশন হচ্ছে না। এজন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’’
গতকাল টপ অর্ডারের ব্যাটিং ভালো যায়নি। মিডল অর্ডারেও রয়েছে জটিলতা। তাওহীদ উন্নতির উপর জোর দেওয়ার কথা বললেন, ‘‘শুধু মিডল অর্ডার না। শুধু টপ টু বটম সব জায়গায় উন্নতির জায়গা আছে আমাদের। যখন ইম্প্রুভমেন্টটা হবে, তখন আমরা ভালো কিছু করব।’’
ঢাকা/ইয়াসিন