লা লিগার কঠোর বেতনসীমা ও ক্লাবের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে কয়েক মৌসুম ধরেই খেলোয়াড় নিবন্ধন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। এবারও যার ব্যতিক্রম নয়। নতুন মৌসুম শুরুর আগে তাই সমর্থকদের ভেতর ছিল উৎকণ্ঠা। তবে মাঠে নামার আগে মিলল সুখবর—মার্কাস রাশফোর্ড আর জোয়ান গার্সিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে লা লিগায় নিবন্ধন করাতে পেরেছে বার্সা। ফলে আজ মায়োর্কার বিপক্ষে মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুজনকে মাঠে নামানো যাবে।

বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা গতকাল সমর্থকদের খবরটি নিশ্চিত করেন। বালিয়ার দ্বীপপুঞ্জে ক্লাব সমর্থক সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যদি (হান্সি) ফ্লিক চান, রাশফোর্ড আর গার্সিয়া কাল (আজ) থেকেই খেলতে পারবেন।’

লা লিগার বেতনসীমা নীতির কারণে এ পর্যন্ত বেশ কয়েক মৌসুমে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নানা জটিলতার মুখে পড়েছে বার্সেলোনা। এবারই যেমন খরচ কমাতে ক্লাবকে বিদায় জানাতে হয়েছে আনসু ফাতি, ইনিগো মার্তিনেজ, ক্লেমন্ত লংলের মতো অভিজ্ঞদের। আরও কিছু খেলোয়াড় বিক্রি বা ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, বোর্ডের বাড়তি আর্থিক নিশ্চয়তা, গোলকিপার আন্দ্রে টের–স্টেগেনের দীর্ঘমেয়াদি চোটজনিত অবকাশ এবং সাম্প্রতিক আর্থিক সমন্বয়ের ফলে অবশেষে রাশফোর্ড ও গার্সিয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুনবার্সেলোনা: নতুন মৌসুমের দলটা কেমন, কোথায় শক্তি, কোথায় দুর্বলতা১১ ঘণ্টা আগে

ইংলিশ তারকা রাশফোর্ড চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে এসেছেন। গত মাসে ক্লাব তাঁকে খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও কাগজপত্র ও আর্থিক ঝক্কি সামলাতে হওয়ায় এত দিন তাঁকে লিগে নিবন্ধন করানো যায়নি। তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি চোটে থাকায় রাশফোর্ডকে শুরুর একাদশেও দেখা যেতে পারে, যদিও তাঁর মূল লড়াইটা হবে ফেরান তরেসের সঙ্গে। স্টেগেন না থাকায় গোলপোস্টে থাকবেন গার্সিয়াই।

তবে বার্সেলোনা এখনো তিনজন খেলোয়াড় লিগে নিবন্ধন করাতে পারে। যার মধ্যে আছেন গোলকিপার ভয়েশ্চেক সেজনি, অন্য দুজন জেরার্ড মার্টিন ও রুনি বার্ডজি।
মায়োর্কার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলার জিতে মৌসুম শুরু লিভারপুলের১৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম আর নেই

বন্দরে  বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ওরফে মুক্তি কাসেম (৯৭) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি.......  রাজিউন।

শনিবার (১৬ আগস্ট ) সকল মাড়ে ৬টায়   বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বন্দর উপজেলার  কামতালস্থ তার  নিজ বাস ভবনে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম আবুল কাশেমের কফিনে  শ্রদ্ধা নিবেদনের পর  রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

গার্ড অব অনার প্রদানে উপস্থিত ছিলেন কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জহিরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স।

 রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা প্রদানের পূর্বে ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের কারণে আজকে আমরা একটি স্বাধীন দেশে বসবাস করছি।

তিনি আরো বলেন, দিন দিন আমরা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়ে ফেলছি।আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি তাদের সম্মান জানাতে।

এসময় পরিবারের হাতে আর্থিক সহযোগিতা অর্থ  তুলে দেন তিনি। ওই সময় বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল লতিফ,মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মরহুমের নামাজের জানাযা শেষে কামতাল ডাকসমাজ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ