মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: বোনের শ্বশুরের ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে
Published: 8th, April 2025 GMT
মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণের মামলায় মূল অভিযুক্ত শিশুটির বোনের শ্বশুরের ডিএনএ পরীক্ষায় প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।
এ ঘটনায় বাড়ির অন্য সদস্যদের কী ভূমিকা ছিল, তা এখনও তদন্ত করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ডিএনএ প্রতিবেদনে একজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। তিনি শিশুটির বোনের শ্বশুর। তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে এ বিষয়ে জেলা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিচ্ছেন না।
এর আগে একাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন শিশুটির বোনের শ্বশুর। ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় ওই আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি জানান, ৬ মার্চ সকালে তার ছোট ছেলের (শিশুটির বোনের স্বামী) কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করেন তিনি। আদালত সূত্র ও পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে মামলার বাদী শিশুটির মায়ের এজাহারের অমিল রয়েছে। বাদী বলেছিলেন, ঘটনা ঘটেছে রাতে। অবশ্য এজাহারে তিনি এ-ও উল্লেখ করেছিলেন, বিয়ের পর থেকে তার বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মেয়ের শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে।
১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। প্রথম জানাজা শেষে উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি তিন আসামির ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
মাগুরার শিশুটির ঘটনা ঘিরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ–সমাবেশের মধ্যে আইন সংশোধন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। এর ফলে এসব মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমবে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে।
রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।